
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিকলীগ জেলা আহবায়ক সুমন হাওলাদারের (৩৮)বিরুদ্ধে পোশাক শিল্প শ্রমিকলীগের অফিসের নামে দোকান দখল করার অভিযোগ উঠেছে। বরাবর রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য দিয়ে আসছে কারো জায়গা দখল করে দলের নামে অফিস দেয়া যাবে না।সোমবার বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানায় দোকানের মালিক নজুরুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।
এদিকে স্থানীয় দোকানদার জানান, সুমন হাওলাদার মাইসদাইর মৃত সিদ্দিক মোল্লার ছেলে নজুরুল ইসলাম থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভাড়া নেন। তখন ভাড়া বাবদ তাদের মাঝে একটি চুক্তি হয়।
নজরুল অভিযোগ করে বলেন, সুমন হাওলাদার পোশাক শ্রমিক নেতা সাইন বোর্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার দোকান দখল করে। আমি ২০১৫ সনের জুন মাসে জেলা পরিষদ থেকে ফতুল্লা ডিএন রোডের জায়গা লিজ আনি। পরে আমি দোকান নির্মান করে তা ভাড়া দেই। সুমন আমার কাছ থেকে ২০১৫ সনে ৩ হাজার ৫শ’ টাকা ভাড়া বাবদ চুক্তি করে দোকান ভাড়া নেন। এক মাসের ভাড়া দেয়ার পর তিনি আর আমাকে ভাড়া দেন নাই। ভাড়া চাইতে গেলে আমাকে অকত্য ভাষায় গালা গালি সহ হুমিক প্রদান করেন। তার কাছে আমি বছরের ভাড়া বাবদ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পাই। তিনি না দিয়ে আমার সাথে তালবাহানা করছে।
তিনি আরো জানান, শাহ আলমের ছেলে সন্ত্রাসী সুমন হাওলাদারসহ তার বাহিনী নিয়ে এর আগে আমার ও গরুর ফার্ম দখল করে নেয়। আমি বাধা প্রদান করলে আমাকে মারতে আসে। গত রোববার রাতে আমার দোকানের শার্টারের তালা ভেঙ্গে প্রায় দের লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এই দোকান আমার দাবী করলে তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। একই সাথে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসাবে বলে হুমকি দেয়। এই বিষয়ে ফতুল্লা থানার এস আই আসাদুজ্জামন তদন্ত করে দুই পক্ষকে শনিবার সকাল ১০ টায় বসার কথা বলেন। কিন্তু বসার দিনে সুমন হাওলাদার থানায় না এসে পালিয়ে থাকেন।
ফতুল্লা মডেল থানার এসই আসাদুজ্জামান বলেন,আমি বিবাদী সুমন হওলাদারকে ডেকে জিজ্ঞেস করবো তিনি কেন আসলো না। প্রয়োজনে সরকারি ভাবে নোটিশ দিয়ে তাকে আবার ডাকা হবে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No posts found.